নামাযে বৈধ বিষয়সমূহ, নামাযে মাকরুহসমূহ এবং নামায ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ

2019

প্রথমতঃ নামাযে বৈধ বিষয়সমূহ

১- কিবলা থেকে মুখ ফিরানো ছাড়া কোনো জরুরি কারণে নামাযে -স্বল্প পরিমাণে- হাঁটা।

২- নামাযে বাচ্চা কোলে নেয়া বা বহন করা।

৩- নামাযে সাপ বা বিচ্ছুর মতো ক্ষতিকর প্রাণী মারা।

৪- কারণবশতঃ -কিবলা থেকে মুখ বা শরীর না সরে পরিমাণে- এদিক সেদিক নড়াচড়া বা দৃষ্টিপাত করা।

৫- নামাযে কান্না করা।

৬- পুরুষের তাসবীহ ও তাকবীর, মহিলাদের তালির মতো হাতের আওয়াজ।

৭- কোন কারণবশত নামাযে তাসবীহ পাঠ করা।

দ্বিতীয়তঃ নামাযে মাকরুহসমূহ

১- বিভিন্ন ধরণের চিন্তা নিয়ে নামাযে আসা বা তার আগে পরে এমন কাজ রাখা যা তাকে পেরেশান করে বা নামায থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয় যেমন, পেশাব-পায়খানা চেপে রাখা, গ্যাস বা বায়ু আটকে রাখা, প্রচন্ড ক্ষুধা ও তৃষ্ণা লাগা বা খাবার উপস্থিত হয়েছে এমন সময় নামাযে দাঁড়ানো, বা এমন জিনিষের দিকে তাকানো যা নামাজের বিঘ্ন ঘটে বা অন্যমনষ্ক করে দেয়।

২- অনর্থক কাজ করা যা নামাযের খুশু বা একাগ্রতা নষ্ট করে যেমনঃ প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়া করা, দাঁড়ি কাপড় ঘড়ি ইত্যাদি নিয়ে নাড়াচাড়া করা, আঙ্গুল ফুটানো বা এক আঙ্গুলের ভেতরে অন্য আঙ্গুল ঢুকানো ইত্যাদি। 

৩- প্রয়োজন ছাড়া এদিক সেদিক তাকানো, তবে শর্ত হলো শরীর কিবলা থেকে অন্য দিকে ফিরবে না, যদি ফিরে তাহলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৪-  কোমরে হাত রাখা, কেননা ইহা ইহুদিদের কাজ।

৫- প্রয়োজন ছাড়া মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

৬- কাপড়কে একত্রিত, জড় বা ভাঁজ করা, জামার হাত ভাঁজ করা ইত্যাদি।

৭- পুরুষের চুল বেঁধে খোপা বেঁধে রাখা, কেমন যেন তা পেছনে হাত বেঁধে রাখা ব্যক্তির মতো হয়ে গেলো, এই অবস্থায় সে সেজদা করলেও তার চুল খাড়া থাকায় চুল সেজদা করলোনা তার সাথে।

৮- নামাযরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো।

৯- প্রয়োজন ছাড়া চোখ বন্ধ করা।

১০- দুই বাহু সিজদার সময় বিছিয়ে দেওয়া।

তৃতীয়তঃ নামায ভঙ্গের কারণসমূহ

১- নামাযের আবশ্যকিয় কোন শর্ত ছুটে গেলে বা শর্তবিরোধী কোন কাজ করা, যেমনঃ অযু ভেঙ্গে যাওয়া, ইচ্ছাকৃত সতর (শরীর ঢাকা) খুলে ফেলা, নামাযের মধ্যে কিবলার দিক থেকে পুরাপুরি অন্য দিকে ফিরে যাওয়া, নিয়ত ছেড়ে দেওয়া।

২- কোনো রুকন বা ওয়াজিব ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া।

৩- নামাযে আমলে কাসির বা অতিরিক্ত কোনো কাজ করা যা নামাযের অন্তর্ভুক্ত নয়, যেমনঃ নামাযে হাঁটা, বেশি বেশি নড়াচড়া করা।

৪- অট্টহাসি দেওয়া।

৫- ইচ্ছাকৃত কথা বলা।

৬- নামাযে খাওয়া বা পান করা।

৭- ইচ্ছাকৃত নামাযের রাকাত বাড়ানো বা রুকন বাড়ানো।

৮- ইমামের আগে মুক্তাদির ইচ্ছাকৃত সালাম ফিরানো।

 



Tags: